৫ মিনিট স্কিন কেয়ার ট্রিক্স – কাচের মতো চকচক করবে ত্বক
![5 Minute](https://femininz.com/wp-content/uploads/5-Minute.png)
ত্বক ভালো রাখতে বিশেষ উপায়ে যত্ন নিতেই হবে। সাধারণ কিছু নিয়ম আপনার সঙ্গে রাখলেই ত্বকের জেল্লা উপচে পড়বে। চলুন জেনে নিই বিস্তারিত…
সুন্দর এবং জেল্লাদার ত্বকের স্বপ্ন প্রায় সবার চোখেই থাকে! তবে সেই স্বপ্ন পূরণ করার জন্যে যে সামান্য পরিশ্রমও করতেই হয়। এই দুই লাইন পড়ার পরেই যেন ভাববেন না যে, জেল্লাদার ত্বকের জন্যে এখনই আপনাকে পার্লারে গিয়ে হাজার হাজার টাকা খরচ করতে হবে।
বরং খুব স্বল্প খরচে বাড়ি বসেই আপনি ত্বকের যত্ন নিতে পারেন। এমনই ৪ পরামর্শ দেওয়া হল প্রবন্ধে। সেই অনুযায়ী ত্বকের যত্ন নিতে পারেন। আর সে কাজ করবেন কী ভাবে, সেই উত্তর দিলাম আমারা এই প্রবন্ধে।
প্রথমেই বলে রাখি যে, খুব সাধারণ কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই আমরা জেল্লাদার ত্বক পেতে পারি। কিন্তু সময়ের অভাবে এবং অন্যান্য কারণে তা করা হয়ে ওঠে না।
তাই নিয়মগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ার আগেই নিজের কাছে প্রমিস করুন যে, আগামী ৪ সপ্তাহ প্রতিদিন প্রতিটি নিয়মই মেনে চলবেন। নিজেকে দেওয়া এই কাথাটা যদি রাখতে পারেন,তাহলেই মিলবে সুফল!
১. দিনে দুবার ক্লিনজিং করুনঃ
ত্বক ভালো রাখার অন্যতম শর্তই হল নিয়মিত ক্লিনজিং করা। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে শুতে যাওয়ার আগে অবশ্যই ফেস ক্লিনজিং করতে হবে। রেগুলার ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন।
রাতে বাড়ি ফিরেও সারাদিনের ধুলো-ময়লা তুলে ফেলতে করুন ক্লিনজিং। এতে আপনার ত্বকের ময়লা বেরিয়ে যাবে। অক্সিজেন সরবরাহ ঠিকঠাক হবে।
২. ময়শ্চারাইজারেই লুকিয়ে রহস্যঃ
জেল্লাদার এবং কোমল ত্বকের অন্যতম রহস্যই হল ময়শ্চারাইজার। নিয়মিত ময়শ্চারাইজিং করতে পারলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। মাখনের মতো ত্বক পাবেন আপনি।
দিনে দুবার ময়শ্চারাইজার লাগান। এই মরশুমে জেল বা ওয়াটার বেসড ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। আপনার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে ময়শ্চারাইজার।
৩. ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখতেঃ
ত্বকের সুস্বাস্থ্য ধরে রাখার জন্য়ে পিএইচ-এর ভারসাম্যও রাখতে হবে। ভুল প্রোডাক্ট ব্যবহারের কারণে এবং অযত্নে ত্বকের পিএইচ-এর মাত্রা হেরফের হতে পারে।
এতে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ে। ত্বকের পিএইচ মাত্রা ঠিক রাখার জন্যে নিয়মিত টোনার ব্যবহার করতে পারেন আপনি। একটি কটন প্যাডে টোনার নিয়ে মুখে লাগান। দিনে দুবার এই কাজটি করলেই সুফল মিলবে হাতেনাতে।
৪. সান প্রোটেকশনঃ
সূর্যালোকের ক্ষতিকারক রশ্মি ত্বকের বারোটা বাজানোর জন্যে যথেষ্ট! সান ট্যান থেকে সানবার্ন, এমনকী ফটোএজিংয়ের জন্যেও দায়ী অতিবেগুনী রশ্মি।
তাই এই ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করা প্রয়োজন। দিনের বেলা বাইরে বেরনোর আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন লাগান। এসপিএফ ৩০ ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
এই ৪ সাধারণ নিয়ম মেনে চললেই ত্বকের জেল্লা বাড়বে। টানা কয়েক সপ্তাহ এই নিয়ম মানুন, পরিবর্তন যে আপনার চোখে পড়বেই, সেই কথা হলফ করে বলতে পারি!